‘বাংলার টাইগার’নামটি শুনে একটু চমকে উঠছেন তো। এটি কোন বাঘের নাম নয়, এটি একটি ষাঁড়ের নাম। বিশাল আকৃতির এই ষাড়টি দেখতে অনেকটা বাঘের মতো। তাই মালিক আদর করে এর নাম দিয়েছেন ‘বাংলার টাইগার’। ইতোমধ্যে ষাড়টি সেলেব্রিটিদের মতো সবার নজর কেড়েছে।
আরও পড়ুনঃ লকডাউন অমান্য করায় চাঁদপুরে গরুর হাট ভেঙে দিল প্রশাসন
‘বাংলার টাইগার’অন্য সাধারণ ষাঁড়ের মতো নয়। অস্ট্রেলিয়ান-ফ্রিজিয়ান জাতের ষাড়টির ওজন প্রায় এক হাজার কেজি। আর আজ এর জন্যই কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়ালডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিমদেবত্তর গ্রামটি সারা বাংলাদশে পরিচিতি পেয়েছে। সেই সঙ্গে পরিচিত মুখ হয়ে উঠেছেন রাজিকুল ইসলাম। পরম আদরে ‘বাংলার টাইগার’ তাঁরই খামারে বেড়ে উঠেছে। রাজিকুল আসন্ন ঈুদল আজহা উপলক্ষে এর দাম হেঁকেছেন পাঁচ লাখ টাকা। অবশ্য এখন পর্যন্ত এর দাম উঠেছে চার লাখ টাকা।
আরও পড়ুনঃ গরু কিনে ‘ডিজিটাল পশুর হাট’ উদ্বোধন করলেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
রাজিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি বছর গরুর হাটে গরু বিক্রি করা যায় দেখে শুনে। করোনায় লকডাউন থাকায় তা হচ্ছে না। তবে লকডাউন ওঠে গেলে কোনো একটা হাটে বাংলার টাইগারকে নেয়া হবে। ফ্রিজিয়াম জাতের ষাঁড়টির বয়স প্রায় চার বছর। কোরবাবানির উপযোগী হওয়ায় এটিকে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছি।এতে এলাকায় মানুষের মধ্যে যথেষ্ট সাড়া পড়েছে। প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে বাড়িতে এসেই দাম হাঁকাচ্ছেন ক্রেতারা। অনেকেই বাংলার টাইগারকে এক নজর দেখতে ভিড় করছেন।’
আরও পড়ুনঃ কুড়িগ্রামে গরু পাচারকারীদের তৎপরতায় করোনা সংক্রমণের আতঙ্ক
রাজিকুল জানান, কোনো প্রকার ক্ষতিকর ট্যাবলেট ও ইনজেকশন ছাড়াই সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে প্রাকৃতিক খাদ্যে ষাঁড়টিকে এ পর্যায়ে আনা হয়েছে। ষাঁড়টিকে খড়, জার্মানির তাজা ঘাস, খৈল, ভূষি, চালের কুড়া, ভুট্টা, ভাতসহ পুষ্টিকর খাবার খাওয়ানো হয়। এছাড়াও গোসল করিয়ে পরিষ্কার ঘরে রাখা, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা ও রুটিন অনুযায়ী ভ্যাকসিন দেয়াসহ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া হচ্ছে। খাবারসহ প্রতিদিন এ ষাঁড়টির পেছনে ৪০০ টাকার ওপর খরচ হয়।
ষাঁড়টি দেখতে আসা আলতাফ হোসেন বলেন, ‘এতো বড় গরু সাধারণত হাটে দেখতে পাওয়া যায় না। তাই ‘বাংলার টাইগারের' খবর শুনে দেখতে এসেছি।’ বাড়িতে লালন পালন করা ষাঁড় এতো বড় হতে পারে তা দেখেই হতবাক হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ৯৯৯ এ কল দিয়ে ছিনতাইকৃত গরুর ট্রাক উদ্ধার, আটক এক
এ বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মো. জোবায়দুল কবির বলেন, এটিকে স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদে রাখার জন্য দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর রাজিকুল ইসলামকে বিভিন্ন নির্দেশনা ও পরামর্শ দিচ্ছে। তিনি খুব ভালোভাবে ষাড়টিকে লালন পালন করেছেন।